উপযোগ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
উপযোগ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

N-M উপযোগ সূচকের গঠন বা প্রস্তুতি

প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক গঠন কর।
        ২। N-M উপযোগ সূচক কিভাবে গঠন করা যায়?
        ৩। N-M উপযোগ সূচক প্রস্তুত কর। 
Bemoulli - এর পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে তথা প্রত্যাশিত উপযোগ (Expected Utility) ধারণার উপর ভিত্তি করেই V. Neumann ও O. Morgenstern পরবর্তীতে সংখ্যাতাত্ত্বিক উপযোগী সূচক তৈরি করেন। এই সূচক বিবেচনা করে যুক্তিশীল ভোক্তা অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুঁকিসহ কোনো পণ্য ক্রয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

N-M উপযোগ সূচক

অনুমিত শর্তাবলিঃ 
V. Neumann ও O. Morgenstern কতকগুলো অনুমিত শর্তের উপর ভিত্তি করে উপযোগ সূচক তৈরি করেন। নিচে শর্তাবলি আলোচনা করা হলোঃ

১. বিভিন্ন ঘটনা থেকে উপযোগ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট উপযোগী সূচি রয়েছে।
২. কোনো ঘটনা ঘটতেও পারে আবার নাও পারে। অর্থাৎ উপযো সূচক ঝুঁকি ও অনিশ্চিতায় আবদ্ধ।
৩. ভোক্তা ঘটনাসমূহ ঘটার সম্ভাবনা পরিমাপ করতে পারেন এবং এদের মধ্যে তুলনা করে পছন্দ - অপছন্দ নির্ধারণ করতে পারেন। যেমন - দুটি বিকল্প ঘটনা A ও B এর মধ্যে ভোক্তা A = B বা A > B অথবা B > A এরূপ মনে করতে পারেন। 
৪. এ দুটি তত্ত্বকে আবার আচরণগত তত্ত্বও বলা হয়। মার্শালের তত্ত্বকে আচরণগত পরিমাণ তত্ত্ব এবং হিকস্ এর তত্ত্বকে আচরণগত পর্যায় তত্ত্ব বলা হয়।
৫. ভোক্তার পছন্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে অর্থাৎ A > B হলে B > A কখনও হবে না।
৬. ভোক্তার পছন্দ অবস্থান্তর হবে অর্থাৎ A > B > C হলে অবশ্যই A > C হবে।
৭.কোনো ঘটনার আর্থিক ফলাফলের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রাসমান হবে অর্থাৎ কোনো ঘটনা থেকে প্রাপ্ত অর্থের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রাসমান। 



Share:

N-M উপযোগ সূচক | N-M Utility Index

প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক কি?
         ২। N-M উপযোগ সূচক বলতে কি বুঝ? 

N-M Utility Index

N-M উপযোগ সূচকঃ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাসহ একজন ভোক্তা কিভাবে উপযোগ সর্বোচ্চ করে তথা ভারসাম্য লাভ করে তারই একটি ব্যাখ্যা চেষ্টা করা হয়েছে N-M উপযোগ তত্ত্বে। N-M উপযোগ তত্ত্বের ভিত্তি হলো বানৌলির পর্যবেক্ষণ যা সেন্ট পিটার্সবার্গ প্যারাডক্স নামে পরিচিত। বানৌলি প্রত্যক্ষ করেন যে, ৫০-৫০ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও রাশিয়ার পিটার্সবার্গের মানুষ লটারীর টিকেট ক্রয় করতে রাজি হয়না। কারণ খুঁজতে গিয়ে বানৌলি প্রত্যাশিত উপযোগ তত্ত্বটি প্রয়োগ করেন। তার মতে, হারানো অর্থের প্রান্তিক উপযোগের চেয়ে জেতা অর্থের প্রত্যাশিত প্রান্তিক উপযোগ বেশি হলে মানুষ বাজিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। এখন অর্থের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রানমান হলে ৫০-৫০ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও হারানো অর্থের চেয়ে জেতা অর্থের প্রত্যাশিত প্রান্তিক উপযোগ কম হয়। এ অবস্থায় কেউ বাজিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয় না। বানৌলির প্রত্যাশিত উপযোগ ধারণাটির উপর ভিত্তি করেই V. Neumann এবং O. Morgenstern উপযোগ সূচক তৈরি করেন। এই উপযোগ সূচককে সংক্ষেপে N-M উপযোগ সূচক বলে। N-M উপযোগ সূচকের উপর ভিত্তি করে কোনো লটারির টিকেটের জেতা অর্থের প্রত্যাশিত উপযোগ গণনা করা যায়। উপযোগ অঙ্কন করা যায় এবং ভোক্তা ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। N-M উপযোগ সূচক সংখ্যাবাচক নাকি পর্যায়বাচক তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সংখ্যাবাচক উপযোগ অপেক্ষকের কিছু বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে প্রতিফলিত হয়, তাই N-M উপযোগ সূচককে সংখ্যাবাচক বলে অভিহিত করা হয়। 



Share:

প্রান্তিক উপযোগ | Marginal Utility

প্রশ্নঃ ১। প্রান্তিক উপযোগ কি?

        ২। প্রান্তিক উপযোগ কাকে বলে? 

প্রান্তিক উপযোগঃ কোনো দ্রব্যের বাড়তি একক ভোগ থেকে যে বাড়তি উপযোগ পাওয়া যায়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলা হয় (Marginal Utility is the additional derived from consuming an additional unit of a good.)। এভাবেও বলা যায়, কোনো ভোগ্য দ্রব্যের এককের পরিবর্তনের ফলে সেই দ্রব্যের মোট উপযোগের মধ্যে যে পরিবর্তন হয়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে। প্রান্তিক শব্দটির দ্বারা মোট এর পরিবর্তনের হারকে বুঝানো হয়ে থাকে। 

প্রান্তিক উপযোগ

ধরা যাক, কোন ক্রেতা বা ভোগকারী প্রথম আপেল হতে ২০ টাকার সমান উপযোগ, দ্বিতীয় আপেল হতে ১৫ টাকার সমান উপযোগ, তৃতীয় ও চতুর্থ আপেল হতে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। ভোগকারী ‍যদি ‍দুটি আপেল ক্রয় করে তাহলে দ্বিতীয় এককটি হলো প্রান্তিক উপযোগ। এক্ষেত্রে ভোগকারীর মোট উপযোগ হবে ৩৫ টাকা এবং প্রান্তিক উপযোগ ১৫ টাকার সমান হবে। 



Share:

মোট উপযোগ | Total Utility

প্রশ্নঃ ১। মোট উপযোগ কি?

        ২। মোট উপযোগ কাকে বলে? 

মোট উপযোগঃ অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দ্রব্য ও  সেবার ভোগ থেকে উদ্ভুত তৃপ্তির সমষ্টিগত রূপকেই মোট উপযোগ বলে (Total Utility is the level of satisfaction of wants and needs obtained from the consumption of goods and services.)। উপযোগকে যখন একটি দ্রব্যের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা হয়, তখন সেই দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগ সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে। 

মোট উপযোগ

ধরা যাক,কোন ক্রেতা বাজারে গিয়ে ৪ টি আপেল ক্রয় করে। সে যখন ১ ‍টি আপেল ক্রয় করে তখন তা থেকে ২০ টাকার সমান উপযোগ ভোগ করে। ক্রেতা যখন ২য় আপেল ভোগ করে তখন তা থেকে ১৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। একই ভাবে ক্রেতা ৩য় ও ৪র্থ আপেল থেকে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোগকারীর মোট উপযোগের পরিমাণ সারণি আকারে দেখানো যায়। 

সারণিঃ

অন্যভাবে বলা যায়, মোট উপযোগ হলো প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি। কোনো দ্রব্যের সকল এককের প্রান্তিক উপযোগ একত্রে যোগ করলে মোট উপযোগ পাওয়া যায়। মোট উপযোগকে নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়: 

TU = MU1 + MU2 + MU3 + ............................. MUn



Share:

উপযোগ ও এর শ্রেণিবিভাগ | Utility and its Classification

প্রশ্নঃ ১। উপযোগ কাকে বলে? উপযোগ কত প্রকার ও কি কি? 

        ২। উপযোগ বলতে কি বুঝ? উপযোগের শ্রেণিবিভাগ কর। 


উপযোগঃ উপযোগ হচ্ছে সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধারণত উপযোগ বলতে উপকারিতাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে বুঝায় মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে। অর্থাৎ কোনো দ্রব্য বা সেবার মাঝে মানুষের অভাব পূরণের যে ক্ষমতা থাকে তাকে উপযোগ বলে। অভাব পূরণের ক্ষমতা হলো উপযোগ। যখন কেউ তৃষ্ণার্ত, তখন তার কাছে পানির উপযোগ আছে। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির তৃষ্ণা নিবারণ করার ক্ষমতা রাখে পানি। অভাব পূরণের মাধ্যমে দ্রব্য বা সেবা থেকে সুষ্ঠ তৃপ্তির প্রবাহ হলো উপযোগ। 

উপযোগ

উপযোগের সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য দ্বারা মানুষের অভাব পূরণ করা সম্ভব তাকে উপযোগ বলা হয়। উপযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

অর্থনীতিবিদ মেয়ার্স - এর মতে, “উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের সেই গুণ বা ক্ষমতা ‍যা মানুষের অভাব পূরণ করতে পারে।”

উদাহরণঃ দ্রব্য মানুষের অভাব মোচন করে। এজন্য দ্রব্যের চাহিদা দেখা যায়। কাজেই কোনো দ্রব্য বা সেবা কর্ম মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম হলে উহার উপযোগ আছে বলে ধরা হয়। যেমন: খাদ্য, বস্ত্র, মদ, হিরোইন, নার্সের সেবা, শিক্ষকের শিক্ষাদান প্রভৃতি মানুষের অভাব মেটায়। 

সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম তাকে উপযোগ বলে।



Share:

আমাদের সম্পর্কে

BTemplates.com

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
বিডি পড়াশোনা - “শিক্ষা বাণিজ্যকে না বলি”

ফেসবুক

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ