মাধ্যমিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাধ্যমিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

উৎপাদন কাকে বলে? | What is Production?

প্রশ্নঃ ১। উৎপাদন কাকে বলে?

         ২। What is Production?

অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে  উৎপাদন অন্যতম। উৎপাদন না হলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়। মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভোগ সম্ভব নয় উৎপাদন ছাড়া এবং এই উৎপাদনকে ঘিরে যাবতীয় অথনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়। 

উৎপাদন

উৎপাদনের সংজ্ঞাঃ সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে কোনো কিছু সৃষ্টি করাকে বোঝায়। তবে পৃথিবীর সকল পদার্থ মৌলিকভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত হওয়ায় মানুষ নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। সে কেবলমাত্র প্রকৃতির দেওয়া কোন বস্তুর রূপ বা আকৃতি পরিবর্তন করে নতুন উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে নতুন এই উপযোগ সৃষ্টিকে বোঝায়। অর্থাৎ নতুন উপযোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করাকেই অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদন বলে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বিভিন্নভাবে উৎপাদনের সংজ্ঞা দিয়েছেন। 



Share:

মোট উপযোগ | Total Utility

প্রশ্নঃ ১। মোট উপযোগ কি?

        ২। মোট উপযোগ কাকে বলে? 

মোট উপযোগঃ অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দ্রব্য ও  সেবার ভোগ থেকে উদ্ভুত তৃপ্তির সমষ্টিগত রূপকেই মোট উপযোগ বলে (Total Utility is the level of satisfaction of wants and needs obtained from the consumption of goods and services.)। উপযোগকে যখন একটি দ্রব্যের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা হয়, তখন সেই দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগ সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে। 

মোট উপযোগ

ধরা যাক,কোন ক্রেতা বাজারে গিয়ে ৪ টি আপেল ক্রয় করে। সে যখন ১ ‍টি আপেল ক্রয় করে তখন তা থেকে ২০ টাকার সমান উপযোগ ভোগ করে। ক্রেতা যখন ২য় আপেল ভোগ করে তখন তা থেকে ১৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। একই ভাবে ক্রেতা ৩য় ও ৪র্থ আপেল থেকে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোগকারীর মোট উপযোগের পরিমাণ সারণি আকারে দেখানো যায়। 

সারণিঃ

অন্যভাবে বলা যায়, মোট উপযোগ হলো প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি। কোনো দ্রব্যের সকল এককের প্রান্তিক উপযোগ একত্রে যোগ করলে মোট উপযোগ পাওয়া যায়। মোট উপযোগকে নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়: 

TU = MU1 + MU2 + MU3 + ............................. MUn



Share:

অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ | Origin and Development of Economy

আজকের যে অর্থনীতি আমরা পড়ি, তা পূর্বে এতটা জটিল ছিল না। সনাতন বা আদিম সমাজে মানুষের জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল। খাবার দাবার, কাপড় চোপড় এবং বাড়িঘর- এসবই ছিল মানুষের মৌলিক চাহিদা। দ্রব্য সামগ্রী বিনিময়ের রীতি ছিল খুব সীমিত । মূলত মানুষের কায়িক পরিশ্রম ছিল উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ। সমাজে কোনাে শ্রেণিভেদ ছিল না। দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ'- এই ছিল আদিম সমাজের মূলমন্ত্র। উৎপাদন ও ভােগ ছিল ঐ সমাজের প্রধান বিষয়। হযরত মুসা (আঃ) এর সময়ে অর্থাৎ ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব হিব্রু (Hebrew) সভ্যতার যুগে ধর্মগ্রন্থে বা দর্শনের বইয়ে অর্থনীতি বিষয়ে সরলভাবে কিছু আলােচনা হতাে। আইন, ধর্ম, নৈতিকতা, দর্শন এবং অর্থনীতি তখন একসঙ্গে আলােচিত হতাে। অর্থনীতি বিষয়ের আলাদা কোনাে অস্তিত্ব ছিল না। উৎপাদন, ভােগ ও দৈনন্দিন সংসার পরিচালনার বিদ্যাকেই তখন অর্থনীতি বলা হতাে।

অর্থনীতি

অর্থনীতির ইংরেজি শব্দ Economics গ্রিক শব্দ Oikonomia থেকে এসেছে । Oikonomia অর্থ গৃহস্থালির ব্যবস্থাপনা (Management of the Household)। প্লেটো (৪২৭ - ৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্ব) এবং এরিস্টটল (৩৮৪-৩২২ 



Share:

অর্থনীতির প্রাথমিক আলোচনা | Preliminary discussion of economics

অ্যাডাম স্মিথ
ছবিঃ উইকিপিডিয়া
সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি গুরুত্ব শাখা হচ্ছে অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত- এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। আধুনিক অর্থনীতির সবচেয়ে প্রচলিত সংজ্ঞাটি প্রদান করেছেন অর্থনীতিবিদ এল. রবিন্স। তার মতে, “অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।” এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহাযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

  • ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতি
  • নীতিবাচক অর্থনীতি ও ইতিবাচক অর্থনীতি
  • মেইনস্ট্রীম ও হেটারোডক্স অর্থনীতি

আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- (১) ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও (২) সামষ্টিক অর্থনীতি। ব্যষ্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে। অন্যদিকে সামষ্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্য ভাবে বলা যায় যে, Micro Economics বা ব্যষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।


Share:

আমাদের সম্পর্কে

BTemplates.com

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
বিডি পড়াশোনা - “শিক্ষা বাণিজ্যকে না বলি”

ফেসবুক

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ