 |
ছবিঃ উইকিপিডিয়া |
সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি গুরুত্ব শাখা হচ্ছে অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত- এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। আধুনিক অর্থনীতির সবচেয়ে প্রচলিত সংজ্ঞাটি প্রদান করেছেন অর্থনীতিবিদ এল. রবিন্স। তার মতে, “অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।” এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহাযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
- ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতি
- নীতিবাচক অর্থনীতি ও ইতিবাচক অর্থনীতি
- মেইনস্ট্রীম ও হেটারোডক্স অর্থনীতি
আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- (১) ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও (২) সামষ্টিক অর্থনীতি। ব্যষ্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে। অন্যদিকে সামষ্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্য ভাবে বলা যায় যে, Micro Economics বা ব্যষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন