N-M উপযোগ সূচকের গঠন বা প্রস্তুতি

প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক গঠন কর।
        ২। N-M উপযোগ সূচক কিভাবে গঠন করা যায়?
        ৩। N-M উপযোগ সূচক প্রস্তুত কর। 
Bemoulli - এর পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে তথা প্রত্যাশিত উপযোগ (Expected Utility) ধারণার উপর ভিত্তি করেই V. Neumann ও O. Morgenstern পরবর্তীতে সংখ্যাতাত্ত্বিক উপযোগী সূচক তৈরি করেন। এই সূচক বিবেচনা করে যুক্তিশীল ভোক্তা অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুঁকিসহ কোনো পণ্য ক্রয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

N-M উপযোগ সূচক

অনুমিত শর্তাবলিঃ 
V. Neumann ও O. Morgenstern কতকগুলো অনুমিত শর্তের উপর ভিত্তি করে উপযোগ সূচক তৈরি করেন। নিচে শর্তাবলি আলোচনা করা হলোঃ

১. বিভিন্ন ঘটনা থেকে উপযোগ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট উপযোগী সূচি রয়েছে।
২. কোনো ঘটনা ঘটতেও পারে আবার নাও পারে। অর্থাৎ উপযো সূচক ঝুঁকি ও অনিশ্চিতায় আবদ্ধ।
৩. ভোক্তা ঘটনাসমূহ ঘটার সম্ভাবনা পরিমাপ করতে পারেন এবং এদের মধ্যে তুলনা করে পছন্দ - অপছন্দ নির্ধারণ করতে পারেন। যেমন - দুটি বিকল্প ঘটনা A ও B এর মধ্যে ভোক্তা A = B বা A > B অথবা B > A এরূপ মনে করতে পারেন। 
৪. এ দুটি তত্ত্বকে আবার আচরণগত তত্ত্বও বলা হয়। মার্শালের তত্ত্বকে আচরণগত পরিমাণ তত্ত্ব এবং হিকস্ এর তত্ত্বকে আচরণগত পর্যায় তত্ত্ব বলা হয়।
৫. ভোক্তার পছন্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে অর্থাৎ A > B হলে B > A কখনও হবে না।
৬. ভোক্তার পছন্দ অবস্থান্তর হবে অর্থাৎ A > B > C হলে অবশ্যই A > C হবে।
৭.কোনো ঘটনার আর্থিক ফলাফলের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রাসমান হবে অর্থাৎ কোনো ঘটনা থেকে প্রাপ্ত অর্থের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রাসমান। 



Share:

মাত্রাগত উৎপাদন | Dimensional Production

প্রশ্নঃ ১। মাত্রাগত উৎপাদন বলতে কি বুঝায়?

        ২। মাত্রাগত উৎপাদন কি? 

উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের ব্যবহারের অনুপাত স্থির রেখে উপকরণসমূহ পরিবর্তন করা হলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয় তাকে মাত্রাগত উৎপাদন বলে। মাত্রাগত উৎপাদনের ধারণাটি দীর্ঘ মেয়াদের সাথে সম্পর্কিত। কারণ দীর্ঘকালে সকল উপকরণ পরিবর্তনীয়। স্বল্পকালে কোন কোন উপকরণ অপরিবর্তনীয় থাকে। এ জন্য স্বল্পকালে উৎপাদন কার্যক্রমে মাত্রাগত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘকালে উৎপাদনের সকল উপকরণই সমানভাবে বাড়ানো সম্ভব।

মাত্রাগত উৎপাদন

সুতরাং দীর্ঘকালে সকল উপকরণের সমানুপাতিক বৃদ্ধির দরুন উৎপাদনের পরিমাণে যে পরিবর্তন আসে তাকেই মাত্রাগত উৎপাদন বলে।

তখন সেই চিত্রকে সম-উৎপাদন মানচিত্র বলা হয়।

মাত্রাগত উৎপাদন ধারণাটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-



Share:

উৎপাদন কাকে বলে? | What is Production?

প্রশ্নঃ ১। উৎপাদন কাকে বলে?

         ২। What is Production?

অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে  উৎপাদন অন্যতম। উৎপাদন না হলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়। মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভোগ সম্ভব নয় উৎপাদন ছাড়া এবং এই উৎপাদনকে ঘিরে যাবতীয় অথনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়। 

উৎপাদন

উৎপাদনের সংজ্ঞাঃ সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে কোনো কিছু সৃষ্টি করাকে বোঝায়। তবে পৃথিবীর সকল পদার্থ মৌলিকভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত হওয়ায় মানুষ নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। সে কেবলমাত্র প্রকৃতির দেওয়া কোন বস্তুর রূপ বা আকৃতি পরিবর্তন করে নতুন উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে নতুন এই উপযোগ সৃষ্টিকে বোঝায়। অর্থাৎ নতুন উপযোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করাকেই অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদন বলে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বিভিন্নভাবে উৎপাদনের সংজ্ঞা দিয়েছেন। 



Share:

N-M উপযোগ সূচক | N-M Utility Index

প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক কি?
         ২। N-M উপযোগ সূচক বলতে কি বুঝ? 

N-M Utility Index

N-M উপযোগ সূচকঃ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাসহ একজন ভোক্তা কিভাবে উপযোগ সর্বোচ্চ করে তথা ভারসাম্য লাভ করে তারই একটি ব্যাখ্যা চেষ্টা করা হয়েছে N-M উপযোগ তত্ত্বে। N-M উপযোগ তত্ত্বের ভিত্তি হলো বানৌলির পর্যবেক্ষণ যা সেন্ট পিটার্সবার্গ প্যারাডক্স নামে পরিচিত। বানৌলি প্রত্যক্ষ করেন যে, ৫০-৫০ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও রাশিয়ার পিটার্সবার্গের মানুষ লটারীর টিকেট ক্রয় করতে রাজি হয়না। কারণ খুঁজতে গিয়ে বানৌলি প্রত্যাশিত উপযোগ তত্ত্বটি প্রয়োগ করেন। তার মতে, হারানো অর্থের প্রান্তিক উপযোগের চেয়ে জেতা অর্থের প্রত্যাশিত প্রান্তিক উপযোগ বেশি হলে মানুষ বাজিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। এখন অর্থের প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রানমান হলে ৫০-৫০ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও হারানো অর্থের চেয়ে জেতা অর্থের প্রত্যাশিত প্রান্তিক উপযোগ কম হয়। এ অবস্থায় কেউ বাজিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হয় না। বানৌলির প্রত্যাশিত উপযোগ ধারণাটির উপর ভিত্তি করেই V. Neumann এবং O. Morgenstern উপযোগ সূচক তৈরি করেন। এই উপযোগ সূচককে সংক্ষেপে N-M উপযোগ সূচক বলে। N-M উপযোগ সূচকের উপর ভিত্তি করে কোনো লটারির টিকেটের জেতা অর্থের প্রত্যাশিত উপযোগ গণনা করা যায়। উপযোগ অঙ্কন করা যায় এবং ভোক্তা ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। N-M উপযোগ সূচক সংখ্যাবাচক নাকি পর্যায়বাচক তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সংখ্যাবাচক উপযোগ অপেক্ষকের কিছু বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে প্রতিফলিত হয়, তাই N-M উপযোগ সূচককে সংখ্যাবাচক বলে অভিহিত করা হয়। 



Share:

প্রান্তিক উপযোগ | Marginal Utility

প্রশ্নঃ ১। প্রান্তিক উপযোগ কি?

        ২। প্রান্তিক উপযোগ কাকে বলে? 

প্রান্তিক উপযোগঃ কোনো দ্রব্যের বাড়তি একক ভোগ থেকে যে বাড়তি উপযোগ পাওয়া যায়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলা হয় (Marginal Utility is the additional derived from consuming an additional unit of a good.)। এভাবেও বলা যায়, কোনো ভোগ্য দ্রব্যের এককের পরিবর্তনের ফলে সেই দ্রব্যের মোট উপযোগের মধ্যে যে পরিবর্তন হয়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে। প্রান্তিক শব্দটির দ্বারা মোট এর পরিবর্তনের হারকে বুঝানো হয়ে থাকে। 

প্রান্তিক উপযোগ

ধরা যাক, কোন ক্রেতা বা ভোগকারী প্রথম আপেল হতে ২০ টাকার সমান উপযোগ, দ্বিতীয় আপেল হতে ১৫ টাকার সমান উপযোগ, তৃতীয় ও চতুর্থ আপেল হতে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। ভোগকারী ‍যদি ‍দুটি আপেল ক্রয় করে তাহলে দ্বিতীয় এককটি হলো প্রান্তিক উপযোগ। এক্ষেত্রে ভোগকারীর মোট উপযোগ হবে ৩৫ টাকা এবং প্রান্তিক উপযোগ ১৫ টাকার সমান হবে। 



Share:

মোট উপযোগ | Total Utility

প্রশ্নঃ ১। মোট উপযোগ কি?

        ২। মোট উপযোগ কাকে বলে? 

মোট উপযোগঃ অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দ্রব্য ও  সেবার ভোগ থেকে উদ্ভুত তৃপ্তির সমষ্টিগত রূপকেই মোট উপযোগ বলে (Total Utility is the level of satisfaction of wants and needs obtained from the consumption of goods and services.)। উপযোগকে যখন একটি দ্রব্যের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা হয়, তখন সেই দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগ সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে। 

মোট উপযোগ

ধরা যাক,কোন ক্রেতা বাজারে গিয়ে ৪ টি আপেল ক্রয় করে। সে যখন ১ ‍টি আপেল ক্রয় করে তখন তা থেকে ২০ টাকার সমান উপযোগ ভোগ করে। ক্রেতা যখন ২য় আপেল ভোগ করে তখন তা থেকে ১৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। একই ভাবে ক্রেতা ৩য় ও ৪র্থ আপেল থেকে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোগকারীর মোট উপযোগের পরিমাণ সারণি আকারে দেখানো যায়। 

সারণিঃ

অন্যভাবে বলা যায়, মোট উপযোগ হলো প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি। কোনো দ্রব্যের সকল এককের প্রান্তিক উপযোগ একত্রে যোগ করলে মোট উপযোগ পাওয়া যায়। মোট উপযোগকে নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়: 

TU = MU1 + MU2 + MU3 + ............................. MUn



Share:

উপযোগ ও এর শ্রেণিবিভাগ | Utility and its Classification

প্রশ্নঃ ১। উপযোগ কাকে বলে? উপযোগ কত প্রকার ও কি কি? 

        ২। উপযোগ বলতে কি বুঝ? উপযোগের শ্রেণিবিভাগ কর। 


উপযোগঃ উপযোগ হচ্ছে সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধারণত উপযোগ বলতে উপকারিতাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে বুঝায় মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে। অর্থাৎ কোনো দ্রব্য বা সেবার মাঝে মানুষের অভাব পূরণের যে ক্ষমতা থাকে তাকে উপযোগ বলে। অভাব পূরণের ক্ষমতা হলো উপযোগ। যখন কেউ তৃষ্ণার্ত, তখন তার কাছে পানির উপযোগ আছে। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির তৃষ্ণা নিবারণ করার ক্ষমতা রাখে পানি। অভাব পূরণের মাধ্যমে দ্রব্য বা সেবা থেকে সুষ্ঠ তৃপ্তির প্রবাহ হলো উপযোগ। 

উপযোগ

উপযোগের সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য দ্বারা মানুষের অভাব পূরণ করা সম্ভব তাকে উপযোগ বলা হয়। উপযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

অর্থনীতিবিদ মেয়ার্স - এর মতে, “উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের সেই গুণ বা ক্ষমতা ‍যা মানুষের অভাব পূরণ করতে পারে।”

উদাহরণঃ দ্রব্য মানুষের অভাব মোচন করে। এজন্য দ্রব্যের চাহিদা দেখা যায়। কাজেই কোনো দ্রব্য বা সেবা কর্ম মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম হলে উহার উপযোগ আছে বলে ধরা হয়। যেমন: খাদ্য, বস্ত্র, মদ, হিরোইন, নার্সের সেবা, শিক্ষকের শিক্ষাদান প্রভৃতি মানুষের অভাব মেটায়। 

সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম তাকে উপযোগ বলে।



Share:

অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ | Origin and Development of Economy

আজকের যে অর্থনীতি আমরা পড়ি, তা পূর্বে এতটা জটিল ছিল না। সনাতন বা আদিম সমাজে মানুষের জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল। খাবার দাবার, কাপড় চোপড় এবং বাড়িঘর- এসবই ছিল মানুষের মৌলিক চাহিদা। দ্রব্য সামগ্রী বিনিময়ের রীতি ছিল খুব সীমিত । মূলত মানুষের কায়িক পরিশ্রম ছিল উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ। সমাজে কোনাে শ্রেণিভেদ ছিল না। দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ'- এই ছিল আদিম সমাজের মূলমন্ত্র। উৎপাদন ও ভােগ ছিল ঐ সমাজের প্রধান বিষয়। হযরত মুসা (আঃ) এর সময়ে অর্থাৎ ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব হিব্রু (Hebrew) সভ্যতার যুগে ধর্মগ্রন্থে বা দর্শনের বইয়ে অর্থনীতি বিষয়ে সরলভাবে কিছু আলােচনা হতাে। আইন, ধর্ম, নৈতিকতা, দর্শন এবং অর্থনীতি তখন একসঙ্গে আলােচিত হতাে। অর্থনীতি বিষয়ের আলাদা কোনাে অস্তিত্ব ছিল না। উৎপাদন, ভােগ ও দৈনন্দিন সংসার পরিচালনার বিদ্যাকেই তখন অর্থনীতি বলা হতাে।

অর্থনীতি

অর্থনীতির ইংরেজি শব্দ Economics গ্রিক শব্দ Oikonomia থেকে এসেছে । Oikonomia অর্থ গৃহস্থালির ব্যবস্থাপনা (Management of the Household)। প্লেটো (৪২৭ - ৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্ব) এবং এরিস্টটল (৩৮৪-৩২২ 



Share:

সামষ্টিক অর্থনীতির প্রাথমিক ধারণা | Macroeconomics

সামষ্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি শাখা যা জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, কাঠামো ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির দুইটি সাধারণ মুল ক্ষেত্রের একটি। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন পুরো অর্থনীতি কর্মকান্ড বোঝার জন্য জিডিপি, বেকারত্বের হার ও মূল্য সুচকের মত সামগ্রিক নির্দেশক নিয়ে আলোচনা করে। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদগন মডেল উন্নয়ন করে থাকে যা কিছু উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে, যেমন জাতীয় আয়, উৎপাদন, ভোগ, বেকারত্ব, মুদ্রাষ্ফীতি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা। অন্য দিকে, ব্যষ্টিক অর্থনীতি একক উপাদানের কর্মকান্ডের উপর প্রাথমিক আলোকপাত করে যেমন, ফার্ম ও ভোক্তা, এবং তাদের আচরণ নির্দিষ্ট বাজারে দাম ও পরিমাণ কিভাবে নির্ধারন করে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

সামষ্টিক অর্থনীতি


সামষ্টিক অর্থনীতি একটি বিশাল শিক্ষাক্ষেত্র, এখানে গবেষণার দুইটি দিক রয়েছে:জাতীয় আয়ে (বানিজ্য চক্র)স্বল্পকালীন স্থানান্তরের কারণ ও প্রভাব এবং দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জাতীয় আয় বৃদ্ধি) নির্ধারনের চেষ্টা করা।

সামষ্টিক অর্থনীতি মডেল ও তাদের প্রভাব সরকার ও বৃহৎ [সংস্থা] উভয়েরই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতি ও ব্যবসা পরিস্থিতি মুল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সামষ্টিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব উন্নয়ন
"সামষ্টিক অর্থনীতি" ধারনাটি ১৯৩৩ সালে নরওয়েজিয়ান অর্থনীতিবিদ রাগনার ফ্রিশের একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত "সামষ্টিক পদ্ধতি" ধারনা থেকে এসেছে। এবং বিগত সময়ে এই ক্ষেত্রের প্রচুর বিস্তৃত উপাদান অনুধাবন করার একটি দীর্ঘ প্রচেষ্টা রয়েছে। ইহা বিগত সময়ের বাণিজ্য বিচ্যুতি ও আর্থিক অর্থনীতি গবেষণার সামগ্রিক ও বিবর্ধন।



Share:

ব্যষ্টিক অর্থনীতির প্রাথমিক ধারণা | Microeconomics

“ব্যাষ্টিক অর্থনীতি” অর্থনীতির একটি মৌল শাখা যাতে ব্যক্তি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভোগ ও উপযোগ, উৎপাদন, মূল্য, মুনাফা ইত্যাদির নিয়ামক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাজার অর্থনীতিতে বাজারে পণ্যের ও সেবার বিনিময় ঘটে। পণ্যের ও সেবা থেকে ব্যক্তি বা ভোক্তা উপযোগ লাভ করে। বাজরে পণ্য ও সেবা বিনিময়ের প্রধান দুটি নিয়ামক হলো ব্যক্তির (বা পরিবারের) পণ্য বা সেবার চাহিদা ও উৎপাদক কর্তৃক সেসবের যোগান। কোন্‌ নিয়ামক (মূল্য বা আয় ইত্যাদি) কী ভাবে ভোগ তথা চাহিদার পরিমাণ নিরূপণ করে এবং উৎপাদকের ক্ষেত্রে কোন্‌ কোন্‌ নিয়ামক (উৎপাদন ব্যয়, সরকারী কর, বাজারের শ্রেণী বা প্রকৃতি) কী ভাবে পণ্য বা সেবার উৎপাদন, মূল্য, বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ নিরূপণ করে এ সবই ব্যাষ্টিক অর্থনীতি বা মাইক্রোইকনমিক্সের আলোচনার বিষয়।
ব্যাষ্টিক অর্থনীতি

অন্য দিকে, সামষ্টিক অর্থনীতি অন্তর্ভুক্ত করে “ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সবগুলোর যোগফলকে, প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি ও বেকার সমস্যা বিষয়ক তত্বাবধান এবং এইসব বিষয়ে সম্পর্কযুক্ত জাতীয় অর্থনৈতিক নীতিসমুহ” এবং ইহা সরকারী কার্যক্রম (যেমন, কর স্তর পরিবর্তন)কে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে লুকাস সমালোচনায় বলা হয় যে, বেশির ভাগ আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতি তত্ত্বসমুহ ব্যষ্টিক অবকাঠামোর উপর প্রতিষ্ঠিত - ইহা ব্যষ্টিক-স্তর আচরনের অনুমিত শর্তসমুহের ভিত্তি।
ব্যষ্টিক অর্থনীতির একটি লক্ষ হচ্ছে যে, বাজার প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা যা পণ্য ও সেবার সম্পর্কযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে এবং সীমিত সম্পদের বিকল্প ব্যবহারের জন্য বণ্টন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। ব্যষ্টিক অর্থনীতি বাজার ব্যর্থতাকে বিশ্লেষন করে, যেখানে বাজার দক্ষ ফলাফল তৈরীতে ব্যর্থ হয়, যেমন পূর্ণ প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক শর্ত বর্ণনা। ব্যষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমুহ হচ্ছে সাধারণ ভারসাম্য, বিচ্ছিন্ন তথ্যের বাজার, অনিশ্চয়তায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্রীড়াতত্ত্বের অর্থনৈতিক ব্যবহার। ইহা ছাড়াও ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে বাজার প্রক্রিয়ার সাথে পণ্যের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুমিত শর্ত ও সংজ্ঞাসমুহ


Share:

অর্থনীতির প্রাথমিক আলোচনা | Preliminary discussion of economics

অ্যাডাম স্মিথ
ছবিঃ উইকিপিডিয়া
সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি গুরুত্ব শাখা হচ্ছে অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত- এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। আধুনিক অর্থনীতির সবচেয়ে প্রচলিত সংজ্ঞাটি প্রদান করেছেন অর্থনীতিবিদ এল. রবিন্স। তার মতে, “অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।” এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহাযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

  • ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতি
  • নীতিবাচক অর্থনীতি ও ইতিবাচক অর্থনীতি
  • মেইনস্ট্রীম ও হেটারোডক্স অর্থনীতি

আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- (১) ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও (২) সামষ্টিক অর্থনীতি। ব্যষ্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে। অন্যদিকে সামষ্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্য ভাবে বলা যায় যে, Micro Economics বা ব্যষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।


Share:

আমাদের সম্পর্কে

BTemplates.com

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
বিডি পড়াশোনা - “শিক্ষা বাণিজ্যকে না বলি”

ফেসবুক

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ