প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক গঠন কর।২। N-M উপযোগ সূচক কিভাবে গঠন করা যায়?৩। N-M উপযোগ সূচক প্রস্তুত কর।
N-M উপযোগ সূচকের গঠন বা প্রস্তুতি
মাত্রাগত উৎপাদন | Dimensional Production
প্রশ্নঃ ১। মাত্রাগত উৎপাদন বলতে কি বুঝায়?
২। মাত্রাগত উৎপাদন কি?
উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের ব্যবহারের অনুপাত স্থির রেখে উপকরণসমূহ পরিবর্তন করা হলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয় তাকে মাত্রাগত উৎপাদন বলে। মাত্রাগত উৎপাদনের ধারণাটি দীর্ঘ মেয়াদের সাথে সম্পর্কিত। কারণ দীর্ঘকালে সকল উপকরণ পরিবর্তনীয়। স্বল্পকালে কোন কোন উপকরণ অপরিবর্তনীয় থাকে। এ জন্য স্বল্পকালে উৎপাদন কার্যক্রমে মাত্রাগত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘকালে উৎপাদনের সকল উপকরণই সমানভাবে বাড়ানো সম্ভব।
সুতরাং দীর্ঘকালে সকল উপকরণের সমানুপাতিক বৃদ্ধির দরুন উৎপাদনের পরিমাণে যে পরিবর্তন আসে তাকেই মাত্রাগত উৎপাদন বলে।
তখন সেই চিত্রকে সম-উৎপাদন মানচিত্র বলা হয়।
মাত্রাগত উৎপাদন ধারণাটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
উৎপাদন কাকে বলে? | What is Production?
প্রশ্নঃ ১। উৎপাদন কাকে বলে?
২। What is Production?
অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে উৎপাদন অন্যতম। উৎপাদন না হলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়। মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভোগ সম্ভব নয় উৎপাদন ছাড়া এবং এই উৎপাদনকে ঘিরে যাবতীয় অথনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়।
উৎপাদনের সংজ্ঞাঃ সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে কোনো কিছু সৃষ্টি করাকে বোঝায়। তবে পৃথিবীর সকল পদার্থ মৌলিকভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত হওয়ায় মানুষ নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। সে কেবলমাত্র প্রকৃতির দেওয়া কোন বস্তুর রূপ বা আকৃতি পরিবর্তন করে নতুন উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে নতুন এই উপযোগ সৃষ্টিকে বোঝায়। অর্থাৎ নতুন উপযোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করাকেই অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদন বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বিভিন্নভাবে উৎপাদনের সংজ্ঞা দিয়েছেন।
N-M উপযোগ সূচক | N-M Utility Index
প্রশ্নঃ ১। N-M উপযোগ সূচক কি?২। N-M উপযোগ সূচক বলতে কি বুঝ?
প্রান্তিক উপযোগ | Marginal Utility
প্রশ্নঃ ১। প্রান্তিক উপযোগ কি?
২। প্রান্তিক উপযোগ কাকে বলে?
প্রান্তিক উপযোগঃ কোনো দ্রব্যের বাড়তি একক ভোগ থেকে যে বাড়তি উপযোগ পাওয়া যায়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলা হয় (Marginal Utility is the additional derived from consuming an additional unit of a good.)। এভাবেও বলা যায়, কোনো ভোগ্য দ্রব্যের এককের পরিবর্তনের ফলে সেই দ্রব্যের মোট উপযোগের মধ্যে যে পরিবর্তন হয়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে। প্রান্তিক শব্দটির দ্বারা মোট এর পরিবর্তনের হারকে বুঝানো হয়ে থাকে।
ধরা যাক, কোন ক্রেতা বা ভোগকারী প্রথম আপেল হতে ২০ টাকার সমান উপযোগ, দ্বিতীয় আপেল হতে ১৫ টাকার সমান উপযোগ, তৃতীয় ও চতুর্থ আপেল হতে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। ভোগকারী যদি দুটি আপেল ক্রয় করে তাহলে দ্বিতীয় এককটি হলো প্রান্তিক উপযোগ। এক্ষেত্রে ভোগকারীর মোট উপযোগ হবে ৩৫ টাকা এবং প্রান্তিক উপযোগ ১৫ টাকার সমান হবে।
মোট উপযোগ | Total Utility
প্রশ্নঃ ১। মোট উপযোগ কি?
২। মোট উপযোগ কাকে বলে?
মোট উপযোগঃ অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দ্রব্য ও সেবার ভোগ থেকে উদ্ভুত তৃপ্তির সমষ্টিগত রূপকেই মোট উপযোগ বলে (Total Utility is the level of satisfaction of wants and needs obtained from the consumption of goods and services.)। উপযোগকে যখন একটি দ্রব্যের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা হয়, তখন সেই দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগ সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে।
ধরা যাক,কোন ক্রেতা বাজারে গিয়ে ৪ টি আপেল ক্রয় করে। সে যখন ১ টি আপেল ক্রয় করে তখন তা থেকে ২০ টাকার সমান উপযোগ ভোগ করে। ক্রেতা যখন ২য় আপেল ভোগ করে তখন তা থেকে ১৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। একই ভাবে ক্রেতা ৩য় ও ৪র্থ আপেল থেকে ১০ টাকা এবং ৫ টাকার সমান উপযোগ লাভ করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোগকারীর মোট উপযোগের পরিমাণ সারণি আকারে দেখানো যায়।
সারণিঃ
অন্যভাবে বলা যায়, মোট উপযোগ হলো প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি। কোনো দ্রব্যের সকল এককের প্রান্তিক উপযোগ একত্রে যোগ করলে মোট উপযোগ পাওয়া যায়। মোট উপযোগকে নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়:
TU = MU1 + MU2 + MU3 + ............................. MUn
উপযোগ ও এর শ্রেণিবিভাগ | Utility and its Classification
প্রশ্নঃ ১। উপযোগ কাকে বলে? উপযোগ কত প্রকার ও কি কি?
২। উপযোগ বলতে কি বুঝ? উপযোগের শ্রেণিবিভাগ কর।
উপযোগঃ উপযোগ হচ্ছে সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধারণত উপযোগ বলতে উপকারিতাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে বুঝায় মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে। অর্থাৎ কোনো দ্রব্য বা সেবার মাঝে মানুষের অভাব পূরণের যে ক্ষমতা থাকে তাকে উপযোগ বলে। অভাব পূরণের ক্ষমতা হলো উপযোগ। যখন কেউ তৃষ্ণার্ত, তখন তার কাছে পানির উপযোগ আছে। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির তৃষ্ণা নিবারণ করার ক্ষমতা রাখে পানি। অভাব পূরণের মাধ্যমে দ্রব্য বা সেবা থেকে সুষ্ঠ তৃপ্তির প্রবাহ হলো উপযোগ।

উপযোগের সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য দ্বারা মানুষের অভাব পূরণ করা সম্ভব তাকে উপযোগ বলা হয়। উপযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
অর্থনীতিবিদ মেয়ার্স - এর মতে, “উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের সেই গুণ বা ক্ষমতা যা মানুষের অভাব পূরণ করতে পারে।”
উদাহরণঃ দ্রব্য মানুষের অভাব মোচন করে। এজন্য দ্রব্যের চাহিদা দেখা যায়। কাজেই কোনো দ্রব্য বা সেবা কর্ম মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম হলে উহার উপযোগ আছে বলে ধরা হয়। যেমন: খাদ্য, বস্ত্র, মদ, হিরোইন, নার্সের সেবা, শিক্ষকের শিক্ষাদান প্রভৃতি মানুষের অভাব মেটায়।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে সমস্ত বস্তু বা দ্রব্য মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম তাকে উপযোগ বলে।
অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ | Origin and Development of Economy
আজকের যে অর্থনীতি আমরা পড়ি, তা পূর্বে এতটা জটিল ছিল না। সনাতন বা আদিম সমাজে মানুষের জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল। খাবার দাবার, কাপড় চোপড় এবং বাড়িঘর- এসবই ছিল মানুষের মৌলিক চাহিদা। দ্রব্য সামগ্রী বিনিময়ের রীতি ছিল খুব সীমিত । মূলত মানুষের কায়িক পরিশ্রম ছিল উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ। সমাজে কোনাে শ্রেণিভেদ ছিল না। দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ'- এই ছিল আদিম সমাজের মূলমন্ত্র। উৎপাদন ও ভােগ ছিল ঐ সমাজের প্রধান বিষয়। হযরত মুসা (আঃ) এর সময়ে অর্থাৎ ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব হিব্রু (Hebrew) সভ্যতার যুগে ধর্মগ্রন্থে বা দর্শনের বইয়ে অর্থনীতি বিষয়ে সরলভাবে কিছু আলােচনা হতাে। আইন, ধর্ম, নৈতিকতা, দর্শন এবং অর্থনীতি তখন একসঙ্গে আলােচিত হতাে। অর্থনীতি বিষয়ের আলাদা কোনাে অস্তিত্ব ছিল না। উৎপাদন, ভােগ ও দৈনন্দিন সংসার পরিচালনার বিদ্যাকেই তখন অর্থনীতি বলা হতাে।
অর্থনীতির ইংরেজি শব্দ Economics গ্রিক শব্দ Oikonomia থেকে এসেছে । Oikonomia অর্থ গৃহস্থালির ব্যবস্থাপনা (Management of the Household)। প্লেটো (৪২৭ - ৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্ব) এবং এরিস্টটল (৩৮৪-৩২২
সামষ্টিক অর্থনীতির প্রাথমিক ধারণা | Macroeconomics
ব্যষ্টিক অর্থনীতির প্রাথমিক ধারণা | Microeconomics

অর্থনীতির প্রাথমিক আলোচনা | Preliminary discussion of economics
![]() |
ছবিঃ উইকিপিডিয়া |
- ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতি
- নীতিবাচক অর্থনীতি ও ইতিবাচক অর্থনীতি
- মেইনস্ট্রীম ও হেটারোডক্স অর্থনীতি